উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
উদ্দেশ্য:
বিডিসি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, ন্যায়সংগত সুযোগ এবং সমতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, সরকারকে প্রতিবন্ধী বিষয় আইন বাস্তবায়নের পরামর্শ ও সুপারিশমালা প্রনয়ন করছে।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ডিপিও (ডিস্ট্রিক্ট ডিজেবল পারসন অর্গানাইজেশন) নির্বাচন করা, যা বাংলাদেশ ডিপিও কোয়ালিশনের মাধ্যমে দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগণের দাবী ও প্রয়োজনীয়তা পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এ উদ্দেশ্যে বিভাগীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে অনির্বাচিত জেলা সমূহের ডিপিও মনোনীত করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
লক্ষ্য:
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, প্রতিবন্ধী জনগণের উন্নয়ন, অধিকার ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করা এবং ডিপিও সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি, ডিপিও প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সমাজে তাদের স্বীকৃতি অর্জন নিশ্চিত করা।
লক্ষ্য অর্জন করার জন্য প্রতিটি বিভাগের প্রতিনিধি নিজেদের অংশীদারি জেলা সমূহের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনির্বাচিত জেলা সমূহের ডিপিও নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করবেন এবং দ্রুততার সাথে তাদের তথ্য সরবরাহ করবেন। এতে বাংলাদেশ ডিপিও কোয়ালিশন একটি শক্তিশালী সংগঠন গঠন করতে সক্ষম হবে যা প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
কর্মসূচী:
প্রতিবেদন প্রকাশ: প্রতিবন্ধী জনগণের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং তা প্রকাশ করা। এতে জনগণ এবং সরকারের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
প্রেস কনফারেন্স: সরকারের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরতে প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করা উচিত। এতে মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে।
৬৪ জেলার প্রত্যেক জেলা থেকে অন্তত ১ জন করে প্রতিনিধি: প্রতিবন্ধী জনগণের দাবি আদায়ের জন্য দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। তারা তাদের জেলার সমস্যা ও দাবীগুলি তুলে ধরবে এবং সমন্বিতভাবে কর্মসূচীতে অংশ নেবে।
সব ধরনের প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ: প্রতিবন্ধী জনগণের মধ্যে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে শারীরিক, মানসিক, এবং বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী সবকেই একত্রিত করার মাধ্যমে তাদের দাবি বেশি শক্তিশালী হবে।
সরকার, স্থানীয় দাতা এবং বৈদেশিক দাতা সংস্থা গুলোতে প্রকল্প জমা দেওয় এবং লবিং করা এবং বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা।
প্রকল্প জমাদান, ভিডিও ও অডিও বার্তা এবং ইশারা ভাষার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবী সমূহ প্রকাশ করা।
পাইলট প্রজেক্ট: প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি জেলার একটি ডিপিওর জন্য ৬-১০ লক্ষ টাকা (জেলার প্রতিবন্ধী সংখ্যার উপর ভিত্তি করে) পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা রয়েছে।
এই দাবী এবং কর্মসূচীগুলোর বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে, এবং তাদের অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত হবে।
ইন্টারনাল পলিসি সমূহ:
-সাধারণ ভাবে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির দাবী ও প্রস্তাব সমূহ নিয়ে যারা লেখিলেখি করছেন তাদের সাথে কোয়ালিশন একাত্বতা ঘোষনা করবে এবং সহযোগীতা প্রদান করবে। যদি শুধু লেখালেখির মাধ্যমে কোন পরিবর্তন প্রকৃত পক্ষে সম্ভব নয়।
-যে সকল ডিপিও বা ওপিডি, আঞ্চলিক জোট, সংস্থা, এনজিও, সুশীল সমাজ, ছাত্র শিক্ষক ও পেশাজীবিরা, আমাদের দাবী সমূহের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন সহযোগীতা প্রদান করবে।
-যে কেউ দাবী ও প্রস্তাবনা সমূহে আরো কিছু বিষয় যোগ করার জন্য বা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দিতে পারবেন। ঐক্যমত এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কেউ চাইলে নিজেদের পক্ষ থেকে কোন ধারা উপধারা যোগ বিয়োগ করার প্রস্তাব দিতে পারবেন।
-সাধারণত একটি জেলায় অনেক গুলো ডিপিও বা ওপিডি থাকে। যেহেতু কোয়ালিশনে যোগ দিতে পারবে, সদস্য হতে পারবে শুধু মাত্র একটি সংগঠন। একটি সংগঠন নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর অন্য কোন ডিপিও তার চাইতে যোগ্য হলেও বা সদস্য হওয়ার সুযোগ নেই। তবে অপর সকল ডিপিও কোয়ালিশনের দাবী সমূহকে সমর্থন করবেন এরকমটাই প্রত্যাশা থাকবে। বিডিসির প্রস্তাবনা সমূহ বাস্তবায়ন করলে সকল প্রতিবন্ধী সংগঠন এবং তার বাহিরেও যেমন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছেন প্রত্যেকেই কম বেশি উপকৃত হবেন।
-কেউ খুব বেশি অতিরঞ্জিত প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ না করা হলেও তাকে সিদ্ধান্তকৃত বিষয়ে কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থেকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হবে।
-অনেক ডোনারই ৯ দফার জেন্য ডোনেট করবেনা, কিন্তু অযথা ট্রেনিং ইত্যাদির জন্য করবে। কিন্তু বিডিসির লক্ষ্য সাময়িক কোন ডোনেশান জন্য। একটি স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়ন।
-কোন ব্যক্তি বা গ্রুপের মতামতের চেয়ে জনগোষ্ঠির বৃহত্তর কল্যানের চিন্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।