Skip to Content

চাকুরিচ্যুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পুনর্বহালের লড়াই

আওয়ামী সরকারের সময় অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পুনর্বহালের লড়াই, বিতর্কিত রায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনের হুমকি, চাকরিতে ফিরিয়ে না নিলে কর্মসূচি ঘোষণা আওয়ামী সরকারের সময় অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পুনর্বহালের লড়াই, বিতর্কিত রায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনের হুমকি, চাকরিতে ফিরিয়ে না নিলে কর্মসূচি ঘোষণা

 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯৮৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিগত হাসিনা সরকারের আমলে ২০১১ সালে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত একজন বিচারপতির রায়ের মাধ্যমে চাকুরিচ্যুত হন। ২০০৪ সালে এডভোকেট ফজলে রাব্বী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করেন, যা পরবর্তীতে নিয়োগের পক্ষে রায় দিলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরি করতে আর কোনো বাধা থাকে না। ২০১১ সালে এই মামলাটি রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.জ.ম. মোজাম্মেল। এখানে উল্লেখ্য যে রিভিউ মামলা করার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন যিনি মামলাটি প্রথমে করেছিলেন, মানে এডভোকেট ফজলে রাব্বী। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রিভিউ করা হয় এবং তৎকালীন বিতর্কিত বিচারপতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীরা উক্ত মামলাটি রিভিউ আবেদন করলে গত ০৭/১১/২০২৪ ও ১৪/১১/২০২৪ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হয় এবং আগামী ১৭/১১/২০২৪ তারিখে আদেশের দিন ধার্য করা হয়। এখানে আরও উল্লেখ্য যে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনেকেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন যে উক্ত দিন আদেশ চাকুরিজীবীদের পক্ষে না দিয়ে তা আবারও হাইকোর্টে শুনানির জন্য পাঠানো হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা/কর্মচারী জানান, আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে না দিলে আমরা আন্দোলনে যাব। আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় আমরা অবস্থান নিব এবং আমাদের চাকরিতে ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাকার কাঁচাবাজারে ডিসেম্বর ২০২৩ এবং ডিসেম্বর ২০২৪