মুসলিম ব্যক্তিত্ব বলতে ইসলামের ইতিহাসে এমন ব্যক্তিদের বোঝায়, যারা ইসলাম প্রচার, ধর্মীয় শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা, সমাজ সংস্কার, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিত্ব হলেন:
১. হযরত মুহাম্মদ (সা.)
- ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসূল। ইসলামের শিক্ষা প্রচার এবং কুরআন শরীফের প্রকাশ তাঁর মাধ্যমে।
- সামাজিক ও নৈতিক বিপ্লবের পথিকৃত।
২. খোলাফায়ে রাশেদীন
- হযরত আবু বকর (রা.): ইসলামের প্রথম খলিফা, ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অন্যতম সঙ্গী।
- হযরত উমর (রা.): ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা, ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিচিত।
- হযরত উসমান (রা.): কুরআন সংকলন করেছেন।
- হযরত আলী (রা.): ইসলামের চতুর্থ খলিফা, জ্ঞান ও ন্যায়ের প্রতীক।
৩. ইমাম গাজ্জালী
- বিখ্যাত ইসলামি দার্শনিক, আলেম এবং সুফি।
- তাঁর রচনা, বিশেষ করে "ইহইয়া উলুমুদ্দীন", ইসলামি দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার ওপর বড় প্রভাব রেখেছে।
৪. সালাহউদ্দিন আইউবী
- জেরুজালেম পুনরুদ্ধারকারী বিখ্যাত মুসলিম শাসক।
- ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ ও মানবিক আচরণ তাঁকে ইতিহাসে স্মরণীয় করেছে।
৫. ইবনে সিনা (আভিসেনা)
- মুসলিম চিকিৎসাবিদ, দার্শনিক ও বিজ্ঞানী।
- তাঁর রচনা "কানুন ফিত তিব্ব" (The Canon of Medicine) চিকিৎসা বিজ্ঞানে অমূল্য।
৬. ইবনে খালদুন
- বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সমাজতত্ত্ববিদ।
- তাঁর লেখা "মুকাদ্দিমা" আধুনিক ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি বলে বিবেচিত।
৭. মালালা ইউসুফজাই
- আধুনিক যুগে নারী শিক্ষার প্রচারক ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
- শিক্ষা ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করে বিশ্বব্যাপী সম্মান অর্জন করেছেন।
৮. মুহাম্মদ ইকবাল
- মুসলিম দার্শনিক ও কবি।
- উপমহাদেশে মুসলিম জাগরণের অন্যতম পথিকৃত।
এ ছাড়াও আরো অনেক মুসলিম ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাদের জীবন ও কাজ থেকে শিক্ষা নেওয়া আমাদের কর্তব্য।