Skip to Content

ইসরায়েল ইস্যুতে জর্ডানের ভূমিকা ভারসাম্যের প্রয়াস নাকি কৌশলগত সিদ্ধান্ত

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ জর্ডানের সাম্প্রতিক ভূমিকা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে জর্ডান। তবে, জর্ডান এটিকে ইসরায়েলকে সাহায্য করার অংশ হিসেবে দেখাতে চায় না।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান, তাদের ড্রোন ভূপাতিত করার সিদ্ধান্ত ছিল দেশ রক্ষার প্রয়াস, ইসরায়েলের প্রতি সাহায্যের অঙ্গীকার নয়। এ বিবৃতি জর্ডানের ‘ভারসাম্য রক্ষার’ কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জর্ডান এই সংঘাতে সরাসরি জড়াতে চায় না।

জর্ডানের রাজতন্ত্রের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের ভালো সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পর্দার আড়ালে হলেও সম্পূর্ণ শীতল নয়। গবেষক এমিলি হোকায়েম বলেন, “জর্ডান ইসরায়েল ও আমেরিকার সহযোগী হিসেবে প্রমাণ রাখতে চায়, কিন্তু নেতানিয়াহু গাজা ও পশ্চিম তীরের বিষয়ে জর্ডানের আহ্বান আমলে নেবে না।”

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষক মাসুদ মোস্তাজাবি বলেন, "ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যুদ্ধে রূপ নিলে জর্ডানও প্রভাবিত হবে।" তিনি জর্ডানের ভঙ্গুর অর্থনীতি, শরণার্থী সংকট এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানকে জোর দিয়ে তুলে ধরেছেন।

জর্ডান বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তাদের ভূমিকা নিছক আত্মরক্ষা নাকি বৃহত্তর কৌশলগত হিসাব—এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, জর্ডানের অবস্থান স্পষ্ট: তারা সরাসরি সংঘাতে জড়াতে চায় না এবং একইসঙ্গে নিজেদের ভূখণ্ড ও জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় সক্রিয়।

ইসরায়েলি নৃশংসতায় চলছে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও নির্মম গণহত্যা : এ বর্বরতার শেষ কোথায়?