Skip to Content

"মানবিকতার আলোকিত পথ"

গল্প: "মানবিকতার আলোকিত পথ"

একটি ছোট শহরের মধ্যে, অরুণ নামক এক যুবক থাকত, যার জীবনে বড় স্বপ্ন ছিল—শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে পরিবর্তন আনা। কিন্তু তার জীবন ছিল কঠিন। তিনি একটি সাধারণ পরিবারে জন্মেছিলেন এবং তার অভাব ছিল, তবে তার মনোবল কখনও নুয়ে পড়েনি।

একদিন শহরের বাজারে যাওয়ার পথে অরুণ এক বৃদ্ধ মানুষকে দেখল, যিনি খালি পায়ে চলছেন এবং তার হাতে একটি ক্ষতচিহ্ন ছিল। তার চেহারা দেখে অরুণের মন খারাপ হয়ে গেল। তিনি এগিয়ে গিয়ে বৃদ্ধকে তার পকেটের টাকা দিয়ে কিছু খাবারের জন্য সাহায্য করলেন।

বৃদ্ধ মানুষটি তার দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি জানো, যে তোমাকে সাহায্য করতে পারে, সে একদিন নিজেও মানুষ হিসেবে বড় কিছু হতে পারে। তোমার ভালোবাসার কাজ একদিন পৃথিবীকে বদলে দেবে।“

অরুণ একটু মুচকি হেসে বললেন, “এটা আমার দায়িত্ব। মানুষকে সাহায্য করতে পারলে অন্তরে শান্তি পাওয়া যায়।“

তারপর থেকে অরুণ মানবিকতার এক নতুন পথ অনুসরণ করতে শুরু করলেন। তিনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দরিদ্র ও অস্থির মানুষের সহায়তা করতে লাগলেন। তার ছোট ছোট সাহায্য এবং মানবিক কাজগুলো একে একে বড় আকারে পরিণত হতে শুরু করল।

কিছুদিন পর, অরুণের এই মানবিক কাজগুলো আরেকটি স্তরে পৌঁছল, যখন তিনি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন যেখানে অভাবী, পেছনে পড়া এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে শিক্ষা পেতে শুরু করল। তিনি জানতেন, শিক্ষা একমাত্র পথ যা মানবিকতার আলোকে প্রতিটি জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

অরুণের কাজ শুধু তার নিজের জীবনে নয়, পুরো শহরের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে শুরু করল। বৃদ্ধের দেওয়া সেই শব্দগুলো তার মনে গভীরভাবে স্থায়ী হয়ে গিয়েছিল—মানবিকতা একদিন পৃথিবীকে আলোকিত করবে।

শেষ।

কানাডার গল্প